শিশুকিশোরদের চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা, পুরস্কার বিতরণী ও একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণসহ বিভিন্ন আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩ পালন করলো দেশের প্রথম ডিজাইন বিশেষায়ীত সাংস্কৃতিক, সৃজনশীল বিশ্ববিদ্যালয়- শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি। ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ১০টায় রাজধানীর উত্তরায় শান্ত-মারিয়ামের স্থায়ী ক্যাম্পাসে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর শামসুন নাহারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে মুক্তি আন্দোলন তথা স্বাধীনতাযুদ্ধের সূত্রপাত প্রসঙ্গ ও ২১ ফেব্রুয়ারির আন্তার্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হয়ে ওঠার বৃত্তান্তসহ তাৎপর্যপূর্ন বিভিন্ন আলোচনায় অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক বরেণ্য চিত্রশিল্পী মোস্তাফিজুল হক, শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য ডা. আহসানুল কবীর, রেজিস্ট্রার ড. পাড় মশিয়ূর রহমান, গভর্মেন্ট এন্ড পলিটিকস্ এর বিভাগীয় প্রধান ও আইকিউএসি’র পরিচালক প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন, বিভাগীয় প্রধানগণ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা অনুষ্ঠানের মাঝে শান্ত-মারিয়াম একাডেমী অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কালচারাল ফোরাম ও সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল একুশের গান, নৃত্য ও আবৃত্তিসহ হরেক আয়োজন।
এরপর আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ-একুশের প্রথম প্রহর। প্রজ্বলিত হয় অসংখ্য মোমবাতি, ঘড়ির কাটা ১২টা ছুইছুই অতঃপর ১ মিঃ এর নিরবতা শেষে সমবেত কন্ঠে শুরু হয় বাঙ্গালীর আবেগের গান তথা একুশের কালজয়ী সঙ্গীত- আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো … । কন্ঠে গান আর হাতের ফুল দিয়ে শুরু হয় ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন। আর এভাবেই রাত পেরিয়ে ভোরের আলো ফোটার সঙ্গেসঙ্গে অর্ধনমিত করা হয় জাতীয় পতাকা। এরপর সকাল ৭.৩০ মিঃ এ শান্ত-মারিয়াম একাডেমী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে শুরু হয় প্রভাত ফেরি। যা প্রদক্ষিণকালে এলাকার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আরো বৃহত্তর তথা গণমানুষের র্যালীতে পরিণত হয়।
র্যালী শেষে শান্ত-মারিয়াম একাডেমীর শিশুকিশোরদের অংশগ্রহণে চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা ও পুরস্কার বিতরণী এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান।