পূনরায় শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি এর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন বরেণ্য চিত্রশিল্পী অধ্যাপক মোস্তাফিজুল হক। বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তাকে এই পুনঃ নিয়োগ দেয়া হয়।
তৎকালীন ঢাকা আর্ট কলেজ (বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ) থেকে বিএফএ ও এমএফএ সম্পন্ন করেন এই শিল্পী। ৯০-এর দশকে জাপান সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের (মনবুশো) বৃত্তি নিয়ে সেখানে চার বছর লেখাপড়া শেষে ফিরে এসে ১৯৯৫ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে ড্রইং এন্ড পেইন্টিং বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
এখন থেকে ২ দশক আগে তিনি বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত মোঃ ইমামুল কবীর শান্ত এর সঙ্গে দেশের প্রথম সৃজনশশীল ও কর্মমূখি এই বিশেষায়ীত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করেন।
উল্লেখ্য, চিত্র শিল্পে অনবদ্য ভূমিকা, বিশেষ করে চিত্রাঙ্কনের মাধ্যমে শিশুদের আগ্রহ তৈরী ও তাদের সৃজনশীল মনোবিকাশে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ মহাত্মা গান্ধী আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার-২০২৩ অর্জন করেন এই বিশিষ্ট শিশু চিত্রাঙ্কন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোস্তাফিজুল হক।
বরেণ্য এই শিল্পী ১৯৭৫ থেকে প্রায় অর্ধশতক ধরে বাংলাদেশের কোমলমতি শিশুদের সৃজনশীল ও মানবিক নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। শিশুদের মানবিক ও সৃজনশীলতা বিকাশের লক্ষ্যে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন শিশুদের মনস্তাত্ত্বিক গবেষণা কেন্দ্র ‘সেন্টার ফর চাইন্ড ক্রিয়েটিভিটি, আজিমপুর লেডিস ক্লাব চিত্রাঙ্কন বিভাগ, “বাংলাদেশ শিশু একাডেমি’র চিত্রাঙ্কন বিভাগ, প্রভাতি আর্ট স্কুল এবং ‘মোস্তাফিজ একাডেমি অব ফাইন আর্টস (মাফা)।
শিশুদের আর্ট শেখানোসহ দেশ-বিদেশে বিভিন্ন চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন তাঁর শখ তথা নেশা। করোনার মহা দূর্যোগেও ভার্চুয়াল চিত্র প্রদর্শনী করে প্রশংসিত হন তিনি। দেশে এবং বিদেশে অসংখ্য কর্মশালা ও সেমিনারে অংশগ্রহণসহ একক ও যৌথ বিভিন্ন আর্ট এক্সিবিশনে অংশগ্রহণ করেন এই শিল্পী। ২০১০ সালে ‘রেট্রোসপেকটিভ’ শিরোনামে তাঁর একটি একক চিত্রকলা প্রদর্শনী ব্যাপক প্রশংসিত হয়। তিনি অসংখ্য দেশী ও বিদেশি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। তাঁর আঁকা ছবি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, জাপানের জুও-মাচি আর্ট মিউজিয়াম এবং অনেক শিল্পানুরাগীদের সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত আছে।


