নিজস্ব প্রতিবেদক
গত বৃহস্পতিবার শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজী’র ‘ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এর উদ্যোগে ফাইন আর্টস এন্ড মিউজিক ডিপার্টমেন্টের এসএ কমিটি দিনব্যাপী গুড গভর্নেন্স শীর্ষক এক কর্মশালার আয়োজন করে। উভয় ডিপার্টমেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫নং ক্যাম্পাসে সকাল ১০টায় পৃথকভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আইকিউএসি’র পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আহমেদ ও মোঃ আনোয়ারুল হক এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ আয়োজনের মূখ্য আলোচক ছিলেন ফাইন আর্টস ডিপার্টমেন্টের তারানা হালিম এবং মিউজিক ডিপার্টমেন্টের অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক ছিলেন ডিপার্টমেন্টের প্রধান অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. প্রদীপ কুমার নন্দী। তিনি টেকনিক্যাল সেশনেরও দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রমে গুড গভর্নেন্স চর্চ্চা ও এর সঠিক ব্যবহার করে আমরা নিজেদের কিভাবে এগিয়ে নিতে পারি এটাই ছিল মূখ্য আলোচনা।
ফাইন আর্টসের মূখ্য আলোচক গুড গভর্নেন্স-এর মাধ্যমে প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম কিভাবে উপকৃত হতে পারে এবং শিক্ষা উন্নয়ন সহ যেকোন উন্নয়নেই গুড গভর্নেন্স কতটা মূল্যবান ভূমিকা রাখে, তা সাবলিল ও পূংখানুপূংখভাবে তুলে ধরেন। ফাইন আর্টস ডিপার্টমেন্টের অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর মোঃ আমানুল্লাহ তাদের টেকনিক্যাল সেশন পরিচালনা করেন। এই সেশনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকগণ আলোচ্য বিষয়ে মত বিনিময় ও শিক্ষা উন্নয়নে কিংবা প্রশাসনে এর ব্যবহারের চুলচেরা ব্যাখ্যা বিশ্লেষন করেন। মিউজিক ডিপার্টমেন্টের প্রধান অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. প্রদীপ কুমার নন্দী গুড গভর্নেন্সের সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ন বিষয় স্বীয় জবাবদিহীতাকে অর্থাৎ ব্যাক্তিগত কাজের মূল্যায়ন ও স্বচ্ছতাকে বাস্তবায়ন করে নিজ ডিপার্টমেন্টকে কিভাবে এগিয়ে নিবেন সে বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন। একই বিষয়ে তারানা হালিম বলেন, একটি দেশ এবং প্রশাসন উভয়ই গুড গভর্নেন্সকে কাজে লাগিয়ে উন্নতি সুনিশ্চিত করতে পারে এবং সেটি কিভাবে সম্ভব তিনি তা বিস্তারিত আলোচনা করেন।
উভয় ওয়ার্কশপের পর্যালোচক প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আহমেদ বলেন, আমরা শিক্ষকগণ এর সঠিক ব্যবহারে এগিয়ে আসলে প্রশাসনও এর সঠিক ব্যবহারে উদ্বোধ্য হবেন এবং আমাদের অধিকারগুলো সুনিশ্চিত হবে। তিনি গুড গভর্নেন্সের বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জবাবদিহীতা, স্বচ্ছতা ও সমতার ব্যাপারটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার ব্যাপারে আলোকপাত করেন। উভয় ওয়ার্কশপই উন্মুক্ত পর্যালোচনা, মূল্যায়ন ও ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।