শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি’র গ্রাফিক ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া বিভাগের অষ্টম সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের ‘Television Production & Communication-II’ শীর্ষক কোর্সের দিনব্যাপী ব্যবহারিক কর্মশালা ১৭ জুলাই ২০২৩ সোমবার উত্তরা ডিয়াবাড়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। গ্রাফিক ডিজাইন ও মাল্টিমিডিয়া বিভাগের ৪০ তম আবর্তনের শিক্ষার্থীরা উক্ত কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাইন ও টেকনোলজির অনুষদের ডিন স্থপতি হোসনে আরা রহমান সকাল ১০.০০টায় অডিটোরিয়ামে কর্মশালার উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম।
সকালের সেশনে টিভি প্রযোজনা নির্মাণ কৌশল বিষয়ে আলোকপাত করেন মাছারাঙ্গা টেলিভিশনের নির্বাহী প্রযোজক ও টেলিভিশন ব্রডকাস্ট প্রোডিসার এ্যসোশিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জনাব স্বীকৃতি প্রসাদ বড়ুয়া।
দুপুরের সেশনে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যম হাইজগুলোর পেশাদার কর্মকর্তা ও সৃজনশীল ব্যক্তিত্বদের অভিজ্ঞতা বিনিময় থেকে পাঠগ্রহণ। অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন ইলেক্ট্রনিক মার্কেটিং এসোশিয়েশনের সভাপতি ও দেশ টেলিভিশনের বিক্রয় ও বিপণন বিভাগের প্রধান জনাব আনিসুর রহমান তারেক। অনুষ্ঠান নির্মাণের নেপথ্যে একজন প্রযোজকের ভূমিকা প্রসঙ্গে আলোকপাত করেন এনটিভির অনুষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র ব্যবস্থাপক ও টেলিভিশন ব্রডকাস্ট প্রোডিসার এ্যসোশিয়েশনের সভাপতি জাহাঙ্গীর চৌধুরী। গণমাধ্যম গবেষক, টিভি মাধ্যমের উর্ধতন কর্মকর্তা, অধ্যাপক ও মিডিয়া বিশেষজ্ঞ ড. ইসলাম শফিক-কর্মশালার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক মাস্টার ক্লাস পরিচালনা করেন। ডিওপি হিসেবে ক্লাস পরিচালনা করেন সানি ডি রোজারিও।
প্রযোজনাভিত্তিক কর্মশালায় শিক্ষার্থীরা ইনডোর ও আউটডোর দুই পরিবেশ মিলিয়ে সর্বমোট তিনটি টিভি প্রযোজনার শুটিং সম্পন্ন করেন। অনুষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী সেট, লাইট, শব্দগ্রহণ, মাইক্রোফোন পরিচিতি, মাল্টিক্যামেরায় অনলাইন শুটিং কৌশল, অনলাইন ভিডিও এডিটিং পদ্ধতি, টকব্যাকের ব্যবহার, ক্যামেরা মুভমেন্ট, লাইভ সম্প্রচার, ক্রোমা শুটিং কৌশল, লাইভ অনুরূপ রেকর্ডিং কৌশল প্রভৃতি বিষয়ে বিশেষভাবে আলোকপাত করা হয়েছে। সমাপনীতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। সমাপনী পর্বে বক্তব্য প্রদান করেন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ শাহাবুদ্দিন আহমেদ ও সহকারী অধ্যাপক শিল্পী আরাফাত হোসেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করেন শিক্ষার্থীবৃন্দ উক্ত কর্মশালা থেকে লব্ধজ্ঞান তারা তাদের পেশাগত জীবনে নান্দনিকভাবে কাজে লাগাতে সক্ষম হবে।