দেশে ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্প নিয়ে এখনো ভালো গবেষণাকেন্দ্র হয়ে ওঠেনি। বহু বছর ধরে এ শিল্পের ক্ষয়িষ্ণু অবস্থা। ভবিষ্যৎ নেই মনে করে বহু তাঁতিই নিজেদের সন্তানদের এ পেশায় আনছেন না। গবেষণাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, নকশা নিয়ে প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি এবং বিদেশে বিপণনের মাধ্যমে এ শিল্পকে রক্ষা করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি আয়োজিত ‘ঐতিহ্যবাহী তাঁতশিল্পের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী ও আলোচনা অনুষ্ঠানে’ আলোচকদের মুখে এসব কথা উঠে আসে।
তেজগাঁওয়ের জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে (জেডিপিসি) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক শিল্পী মোস্তাফিজুল হকের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহমুদা বেগম, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম, ফ্যাশন ডিজাইনার হেদায়াতুল্লাহ, ক্রাফট আর্টিস্ট ফাইকুজ্জামান বাদশাহ, পর্যটক এলিজাবেথ বিনতে এলাহি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে তাঁতশিল্পের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করা নুসরাত জাহান নিপার গবেষক হয়ে ওঠার গল্প নিয়ে নির্মিত ‘তাঁত-কন্যা’ নামের একটি প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। আধাঘণ্টা দৈর্ঘ্যের প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছেন সুমন ধর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘তাঁত-কন্যা’ প্রামাণ্যচিত্র দেখে মনে হয়েছে, বাংলাদেশের মেয়েরা চাইলে সব বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যেতে পারে। তাঁতশিল্পকে বাঁচাতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আগ্রহে মসলিন আবার প্রাণ পেয়েছে। মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমাদের তাঁতশিল্পীরা নতুন প্রজন্মকে আর এ শিল্পে যুক্ত করছেন না। কারণ এখানে ভবিষ্যৎ নেই বলে তাঁরা মনে করছেন। এ সমস্যাকে আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। ’ তিনি আধুনিক নকশা, দেশ-বিদেশের মেলায় অংশগ্রহণসহ ভালো বিপণন ইত্যাদির ওপর জোর দেন।